সাহিত্য ঠিক কাকে বলা যায় ? কদিন ধরেই ভালো কিছু পড়তে চাইছি কিন্তু পাচ্ছিনা। যে গুলো ভালো লেগেছিল সেগুলো আগেই পড়া হয়ে গেছে আর যেগুলো এখন চোখে পড়ছে তাদের সাহিত্য বলা যাই কিনা এই নিয়ে দ্বন্দে পরেছি । কিছু একটা লিখলাম তারপর সেটা প্রকাশিত হয়ে গেল সেটিকে কি সাহিত্য বলা যাবে? নাকি যে লেখা পড়ে মনে অনেক্ষণ ধরে একটা রেশ থেকে যায় যা মনকে ভাবায় সেটিই সাহিত্য?
এখন প্রশ্ন হলো লেখাকে ভাবনাকে সাহিত্যের রূপ দিতে গেলে সবচেয়ে দরকারি কি? যা জানা আছে তাই লেখা নাকি কল্পনার ঘোড়া ছুটিয়ে যা প্রাণ চায় লিখে যাওয়া ! personally আমার পদ্যের চেয়ে গদ্যে আকর্ষণ বেশি তারচেয়েও বেশি ভালো লাগে উপন্যাস পড়তে যমন বঙ্কিম চন্দ্রের 'রাজসিংহ' বা শরদ্বিন্দুর 'কালের মন্দিরা' একবার পড়লে মনে অনেক্ষণ একটা কি বলা যাই উপন্যাসের সুরটা গুনগুন করে,বড় ভালো লাগে তখন।তবে আজকাল কারো কাছে সময় কথায়? আগে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হত কিছু পড়লে বন্ধুদের মাঝে চুটিয়ে ওই নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠত আর এখন অনুগল্প হয়ত পড়ার সময় হয় নইলে একটা দুটো কবিতা। হঠাৎ করে কেন জানি মনে হচ্ছে বাংলায় গল্পকারদের সংখ্যা আর মান দুটি কমে গেছে। যা দুএকটা লেখা হচ্ছে তার মধ্যে commercialism এর গন্ধ বেশ উগ্র, সাহসী গভীর সমাজ কেন্দ্রিক লেখার সংখ্যা প্রায় চোখেই পড়েনা পড়লেও তাতে সাহসীকতার চেয়ে সাবধানতাই বেশি চোখে পড়ে ।
সাবধান হয়ে লেখা যায় কিন্তু সাহিত্য সৃষ্টির জন্য লাগে চিন্তার সাহস লাগামছাড়া ভাবার ক্ষমতা, সবকিছুকে মন থেকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা, যে লিখছে সে যদি নিজের সমস্ত সত্তাকে উগরে দেই নিজের লেখাতে মনে অনুভব করে প্রতিটি চরিত্রকে ঠিক তখনই কথায় যেন পাঠক আর লেখকের মন জুড়ে যায়; পাঠক প্রতিটি শব্দের সাথে একই ভাবে লেখার মুহূর্ত গুলোকে অনুভব করে তখনই সবার অলক্ষে তৈরী হয় সাহিত্য যা মনে দাগ কেটে যায় চিরকালের জন্য ।
..................................................................................................................................................
No comments:
Post a Comment